Abiotic disorder (এবায়টিক ডিসঅর্ডার): অজীবীয় কারণসমূহ যেমন-বিভিন্ন ধরনের শরীরবৃত্তীয় সমস্যার জন্য রোগ সৃষ্টি হওয়া। সূত্রঃ Glossary of Encyclopedia of Flora and Fauna of Bangladesh. Zia Uddin Ahmed et al.
Accession Number (এক্সেশন নম্বর): একটি অনন্য (Unique) সংখ্যা যা প্রত্যেকটি হারবেরিয়াম শিট সংরক্ষণের পূর্বে প্রদান করা হয়।
Acclimatization (এক্লিমাটাইজেশন): এক পরিবেশ থেকে ভিন্নতর কোন পরিবেশে উদ্ভিদের খাপ খাওয়ানো। যেমন-টিস্যু কালচার প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন চারাকে গ্রীনহাউজে এবং পরবর্তীতে গবেষণা প্লটে স্থানান্তরকরণ। সূত্রঃ Plant bio-technology.A.K.M. Rafiul Islam & Md. Hasanur Rahman.
Acquired Forest (অর্জিত বন): পূর্বে এই ধরনের বনাঞ্চল জমিদার, সামন্তপ্রভু, দেশীয় রাজাদের অধীনে ছিল। পঞ্চাশের দশকে প্রজাস্বত্ব আইনে ব্যক্তি মালিকানা ভুক্ত বনগুলোর দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করে।
Adaptation (অভিযোজন): জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বিরূপ পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতা। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্রমবর্ধমান সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষতি হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাঁধ সৃষ্টি করা বা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় উচ্চ তাপমাত্রা ও খরাসহিষ্ণু বা লবণসহিষ্ণু শস্য উদ্ভাবন করা। সূত্র: Definition from UNFCCC
Adaptation Fund (অভিযোজন তহবিল): উন্নয়নশীল দেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র তীরবর্তী ছোট দ্বীপরাষ্ট্রসমূহে অভিযোজনমূলক প্রকল্প এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের আওতায় গঠিত একটি তহবিল। ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম যেমন কার্বন নির্গমন কমানোর বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ এই তহবিলে জমা রাখা হয়।
Aerial Photography (এরিয়্যাল ফটোগ্রাফি): ভূমির সাথে সংস্পর্শ না রেখে যে ছবি তোলা হয় তাকে এরিয়্যাল ফটোগ্রাফি বলে। এরিয়্যাল ফটোগ্রাফি হচ্ছে এরিয়্যাল সার্ভের কাঁচামাল যার উপর ভিত্তি করে এরিয়্যাল সার্ভে করা হয়। এরিয়্যাল ফটোগ্রাফি Central Projection এর মাধ্যমে ছবি তোলা হয়। সাধারণত ভূমি থেকে ছবি তুললে Line Projection এর মাধ্যমে ছবি তোলা হয়। Stereoscope-এর সাহায্যে এরিয়্যাল ফটোগ্রাফিতে কোন বস্তুর তিন মাত্রার দৃশ্য (3- dimensional view)পাওয়া যায় যা মানচিত্র তৈরীর ক্ষেত্রে বা কোন এলাকার ধারণা পেতে সাহায্য করে। বনাঞ্চল জরিপের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Aerial Root (বায়বীয় মূল): গাছের কান্ড হতে যে শিকড় বের হয়। যেমন- বট গাছ, সুন্দরবনের ঝানা গর্জন।
Aerial Survey (এরিয়্যাল সার্ভে): এরিয়্যাল সার্ভে হচ্ছে একটি জরিপ পদ্ধতি যা করা হয় ভূমির সাথে সরাসরি সম্পর্ক না রেখে অর্থাৎ ভূমির উপরে (বাতাসে বা কোন কোন ক্ষেত্রে মহাশূন্য হতে) কোন একটি নিদির্ষ্ট বিন্দু হতে। এখন উন্নত বিশ্বে এরিয়্যাল সার্ভের মাধ্যমেই সকল জরিপ কার্য চালানো হয়। এরিয়্যাল সার্ভের মাধ্যমে যে কোন বস্তুর ত্রি-মাত্রিক দৃশ্য (3-dimensional view) পাওয়া যায়। অল্প সময়ে এবং এক সাথে অনেক এলাকার ছবি পাওয়া যায়। বন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এই জরিপ অনেক কার্যকর।
Afforestation (বনায়ন): যে এলাকায় পূর্বে কোন বন ছিল না সেই সকল এলাকায় বনায়ন করাকে Afforestation বলে। যেমন- উপকূলীয় এলাকায় সৃজিত বন।
Agri-Silviculture (কৃষি-বন): একে Agro-forestryও বলা হয়। বনজদ্রব্য, পশু-খাদ্য, খাদ্য-শস্য সব এক সাথে চাষ করা হয়।
Agro-Forestry (কৃষি-বন): বৃক্ষ উৎপাদনের পাশাপাশি একই জমিতে কৃষি ফসল উৎপাদনকে কৃষি বনায়ন বলা হয়। কৃষি-বন এক সাথে করলে গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়, জমির সঠিক ব্যবহার হয়, জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায়, ভূমির ক্ষয়রোধ হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। কৃষি বনে বনজ দ্রব্যের সাথে শস্য, পশু-খাদ্য, মাছ চাষ ইত্যাদিও করা হয়ে থাকে।
Air– dried metric tons (এডিএমটি): ওজনের ভিত্তিতে ১০% পানিযুক্ত মন্ড। এক ADMT= 0.৯ মেট্রিকটন ওভেনে-শুকানো মন্ডের (ওডিএমটি) সমান।
Air borne fungi (এয়ার বরন ফানজি): বায়ু বাহিত ছত্রাক। যে সমস্ত ছত্রাক বাতাসে ভেসে বেড়ায় এবং বায়ু বাহিত রোগ সৃষ্টি করে। সূত্রঃ শস্যের রোগ, আকতারুজ্জামান।
Air Pollution (বায়ুদূষণ): বায়ুর ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব গুণাবলীর ক্ষতিকর পরিবর্তন যার ফলে মানুষ বা সকল প্রাণী ও উদ্ভিদ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের স্বাস্থ্য বা অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাতাসে ভাসমান বস্তুকণা (SPM), অতিসূক্ষ্ম বস্তুকণা (PM2.5, PM10), সালফারের অক্সাইডসমূহ (SOx), নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ (NOx), কার্বনমনোক্সাইড (CO), লেড ইত্যাদির উপস্থিতির কারণে বায়ুদূষণ ঘটে।
Air Quality Index-AQI (বায়ুমান সূচক): দৈনিক বায়ুমান রিপোর্ট করার জন্য একটি সূচক। এর মাধ্যমে কোনো শহর-নগর বা দেশের বায়ুর পরিচ্ছন্নতা, বা দূষণ অবস্থা বা অস্বাস্থ্যকর অবস্থা বা জনস্বাস্থ্যের উপর বায়ুমানের অবস্থার প্রভাব বা উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এটি সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্প কর্তৃক ঢাকা মহাগরের প্রতিদিনের AQI প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশের বায়ুমান সূচক বায়ুমান সূচক বায়ুমানের অবস্থা রঙে প্রকাশ ০-৫০ ভালো সবুজ ৫১-১০০ মাঝারি/সহনীয় হলুদাভ সবুজ ১০১-১৫০ সতর্কতাজনক হলুদ ১৫১-২০০ অস্বাস্থ্যকর কমলা ২০১-৩০০ খুব অস্বাস্থ্যকর লাল ৩০১-৫০০ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বেগুনি নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্প, পরিবেশ অধিদপ্তর
Air Quality Management (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা): বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব হতে পরিবেশ, প্রতিবেশ, প্রাণীর আবাস (Habitat) ও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার উদ্দেশ্যে গৃহীত কার্যক্রম। যেমন কোনো প্রকল্পের বা শিল্পকারখানার বা যানবাহনের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ।
Clean Air (নির্মল বায়ু): সহজ ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য দূষণমুক্ত স্বাস্থ্যকর বায়ু।
Continues Air Monitoring Station (CAMS) (সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ স্টেশন): সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ স্টেশন। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ স্টেশনের মাধ্যমে নিয়মিত বায়ুতে বিদ্যমান বিভিন্ন দূষক পরিমাপ করা হয় এবং স্টেশনে প্রাপ্ত তথ্যের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করা হয়।
Degraded Air Shade: বায়ুদূষণের ফলে অবক্ষয়িত হয়েছে এমন এলাকার পারিপার্শ্বিক বায়ু।
Extinct Species (বিলুপ্ত প্রজাতি): যে প্রজাতিটির সম্ভাব্য সব বাসস্থান এবং বছরের সব ঋতুতে পর্যায়ক্রমিক অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর পর নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, প্রজাতিটির সর্বশেষ সদস্যটির মৃত্যু হয়েছে। এর আর কোনো সদস্য বেঁচে নেই। বাংলাদেশের এন্ডেমিক Nothopegia acuminata J. Sinclair এখন বিলুপ্ত। সূত্র: উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র-ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।
Fair and equitable benefit sharing (জীববৈচিত্র্য সম্পদের ন্যায্য হিস্যা বণ্টন): স্থানীয় সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠী, গবেষক, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকারী, জ্ঞানধারণকারী এবং উদ্ভাবনকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য কৌলিসম্পদ বা জীবসম্পদ হইতে প্রাপ্ত সুফলের ন্যায্য হিস্যা বণ্টন পদ্ধতি। সূত্র: Nagoya Protocol on Access and Benefit Sharing under UNCBD
National Ambient Air Quality Standards-NAAQS (জাতীয় পারিপার্শ্বিক বায়ুর গুণগত মান): পারিপার্শ্বিক বায়ুর গুণগত মান যা মানবস্বাস্থ্য বা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ক্ষতিসাধন করতে পারে তার একটি সীমা বা নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।