ইটভাটা দ্বারা সৃষ্ট পরিবেশ দূষণের অন্যতম উৎস্য হলো কয়লা ক্রাশিং এর ফলে সৃষ্ট দূষণ। ইটভাটায় জ্বালানী হিসেবে কয়লা ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারের পূর্বে কয়লাসমূহ ক্রাশিং করে ছোট দানায় পরিণত করা হয়। সাধারণত হলারের মাধ্যমে ইটভাটাগুলোতে কয়লা ক্রাশিং করা হয়। উম্মুক্ত অবস্থায় কয়লা ক্রাশিং এর ফলে সৃষ্ট ডাস্ট কর্মরত শ্রমিকসহ আশেপাশের মানুষের নাক ও মুখ দিয়ে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ক্যানসার, শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ যেমন ব্রংকাইটিস নিউমোনাসিস, পালমোনারি ফাইব্রোসিস প্রভৃতি রোগ সৃষ্টি করে। এছাড়া কয়লা ক্রাশিং এর ফলে সৃষ্ট ডাস্ট বায়ু দূষণ সৃষ্টি করে এবং বৃক্ষ ও ফসলী উদ্ভিদের পাতায় আবরণ সৃষ্টি করে যা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। সেই সাথে যথেষ্ট পরিমাণে কয়লা ডাস্ট হয়ে বাইরে নির্গমন হওয়ায় দেশের সম্পদের ঘাটতি হয়। কয়লা ক্রাশিং এর ফলে সৃষ্ট এ ধরণের দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর, রংপুর বিভাগ কর্তৃক ইনডোর সিস্টেমে কয়লা ক্রাশিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরণের সিস্টেমে ছাদযুক্ত ভবনের ছাদে ক্রাশিং মেশিন স্থাপন করা হয়। সিড়ি দিয়ে ছাদে উঠে ক্রাশিং মেশিনের হলারে কয়লা প্রবেশ করানো হয়। ক্রাশিং এর পূর্বে কয়লা পানি দিয়ে ভিজিয়ে নেওয়া হয় এবং ক্রাশিংকালীন কক্ষের দরজা বন্ধ রাখা হয়। এভাবে ক্রাশিং এর ফলে সৃষ্ট কয়লা আবদ্ধ ঘরে স্থানান্তর হওয়ায় ডাস্ট বাইরে নির্গমন হতে পারে না। ফলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যঝুকি আনুপাতিকহারে নিরসণ হয়। সেই সাথে দেশের সম্পদ বিনষ্টের হাত থেকে রক্ষা পায় এবং বায়ু নির্মল থাকে। রংপুর বিভাগে ইতোমধ্যে ২০% ইটভাটায় এ প্রক্রিয়ায় কয়লা ক্রাশিং শুরু হয়েছে। আগামী এক বছরের রংপুর বিভাগস্থ শতভাগ ইটভাটায় এ প্রক্রিয়ায় কয়লা ক্রাশিং করা হবে বলে আশা করা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস